নোটিশ
আপনি কি ব্লগ কিংবা ফেসবুকে ইসলাম এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করতে আগ্রহী?
তাহলে আপনার লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। ধন্যবাদ

Friday, December 22, 2017

(কা‘বা গৃহের) হজ্জ্ব


পবিত্র কোরআন কারীমে মহান রব্বে কারীম ইরশাদ করেন,
“এতে রয়েছে মাক্বামে ইব্‌রাহীমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ্জ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না ”
(সূরা আলি ইমরান-৯৭)

হাদীসে এসেছে-
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
“ইসলামের ভিত পাঁচটি জিনিসের উপর স্থাপিত আছে। (১) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা'বূদ (উপাস্য) নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ, (২) নামায কায়েম করা, (৩) যাকাত প্রদান করা, (৪) বায়তুল্লাহর হজ্জ করা এবং (৫) মাহে রমযানের সিয়াম (রোযা) পালন করা।”
[সহীহুল বুখারী ৮, মুসলিম ১৬, তিরমিযী ২৬০৯, ইবনু মাজাহ ৫০০১, আহমাদ ৪৭৮৩, ৫৬৩৯, ৫৬৫৯, ৫৬৭৯, ৬২৬৫]

অন্য হাদীসে এসেছে-
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে ভাষণ দানকালে বললেন,
“হে লোক সকল! আল্লাহ তোমাদের উপর (বায়তুল্লাহর) হজ্জ ফরয করেছেন, অতএব তোমরা হজ্জ পালন কর।” একটি লোক বলে উঠল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! প্রতি বছর তা করতে হবে কি?’ তিনি নিরুত্তর থাকলেন এবং লোকটি শেষ পর্যন্ত তিনবার জিজ্ঞাসা করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যদি আমি বলতাম, হ্যাঁ। তাহলে (প্রতি বছরে) হজ্জ ফরয হয়ে যেত। আর তোমরা তা পালন করতে অক্ষম হতে।” অতঃপর তিনি বললেন, “তোমরা আমাকে (আমার অবস্থায়) ছেড়ে দাও, যতক্ষণ আমি তোমাদেরকে (তোমাদের সব সব অবস্থায়) ছেড়ে রাখব। কেননা, তোমাদের পূর্বেকার জাতিরা অতি মাত্রায় জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের পয়গম্বরদের বিরোধিতা করার দরুন ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং আমি যখন তোমাদেরকে কোন কিছু করার আদেশ দেব, তখন তোমরা তা সাধ্যমত পালন করবে। আর যা করতে নিষেধ করব, তা থেকে বিরত থাকবে।”
[সহীহুল বুখারী ৭২৮৮, মুসলিম ১৩৩৭, তিরমিযী ২৬৭৯, নাসায়ী ২৬১৯, ইবনু মাজাহ ১, ২, আহমাদ ৭৩২০, ৭৪৪৯, ৮৪৫০, ৯২৩৯, ৯৪৮৮, ৯৫৫৭৭, ৯৮৯০, ১০২২৯, ১০৩২৭]

উপরোক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেই বর্ণিত,  তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে,
“যে ব্যক্তি হজ্জ পালন করল এবং (তাতে) কোন অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচার করল না, সে ব্যক্তি ঠিক ঐ দিনকার মত (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।
[সহীহুল বুখারী ১৫২১, ১৮১৯, ১৮২০, মুসলিম ১৩৫০, তিরমিযী ৮১১, নাসায়ী ২৬২৭, ইবনু মাজাহ ২৮৮৯, আহমাদ ৭০৯৬, ৭৩৩৪, ৯০৫৬, ৯৯০৪, ১০০৩৭, দারেমী ১৭৯৬]

হজ্জ্বের আভিধানিক অর্থ: হজ্জ্বের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, মহান কাজের ইচ্ছা করা।
হজ্জ্বের পারিভাষিক অর্থ: ইসলামি পরিভাষায় বিশেষ সময় ও বিশষে পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কিছু স্থানের জিয়ারত করাকে হজ্জ্ব বলে।

হজ্জ্বের ফরযের ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর সকলের মাঝেই ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং মুসলমানদের কেউ এ ব্যাপারে মতবিরোধ করেনি।

0 comments:

Post a Comment