সালাত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা:
১. রুকু সিজদাহ বিশিষ্ট সালাত।
২. রুকু সিজদাহ বিহীন সালাত।
রুকু সিজদাহ বিশিষ্ট সালাত তিন প্রকার। যথা:
১. ফরয সালাত: যেমন, প্রতি দিনের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত।
২. ওয়াজিব সালাত: যেমন, বিতির ও দুই ঈদের সালাত এবং নফল সালাত শুরু করার পর ভেঙ্গে গেলে বা ভেঙ্গে ফেললে তার কাযা।
৩. নফল সালাত: ফরয ও ওয়াজিব সালাত ব্যতিত অন্যান্য সালাত।
সালাত ফরয হওয়ার শর্তসমূহ
নিম্নোক্ত তিনটি শর্ত পাওয়া গেলে সালাত ফরয হয়। যথা:
১. মুসলিম: সালাত আদায়কারী ব্যক্তি মুসলিম হওয়া। সুতরাং কাফিরের উপর সালাত ফরয নয়।
২. সাবালক হওয়া: সতুরাং, নাবালেগের উপর সালাত ফরয নয়।
৩. জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া: সুতরাং, পাগলের উপর সালাত ফরয নয়।
বি: দ্র:, মাতাপিতার জন্য উচিৎ হচ্ছে যে, সাত বছর বয়স হলে সন্তানদেরকে সালাতের আদেশ করবে এবং দশ বছর বয়স পূর্ণ হলে সালাত আদায় না করলে হাত দ্বারা প্রহার করবে। (অর্থাৎ, মৃদু শাসন করবে। কঠোর শাসন নয়। সুতরাং হাত দ্বারা এমনভাবে প্রহার করবে যাতে শরীরের কোন অঙ্গ ক্ষত না হয় অথবা স্বাস্থ্যহানী বা অঙ্গহানী না হয় অথবা রোগব্যাধি দেখা দেয়ার কারণ না হয়। এমন করা ইসলামি শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।)
0 comments:
Post a Comment