নোটিশ
আপনি কি ব্লগ কিংবা ফেসবুকে ইসলাম এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করতে আগ্রহী?
তাহলে আপনার লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। ধন্যবাদ

Friday, November 17, 2017

ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাজায়েজ

ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকার ফতুয়া৷

বরাবর, প্রধান মুফতি সাহেব দামাত বারাকাতুহুম, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷

বিষয় : অপসংস্কৃতি!
প্রশ্ন : ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শরীয়ত সম্মত কিনা? তথাকথিত শিল্পীগোষ্ঠী সমূহের মাধ্যমে ইসলামী সংগীত এর হুকুম কি? এবং সঙ্গীত শোনা জায়েজ আছে কিনা? এবং ইহা ভিডিও আকারে প্রচার করা যাবে কিনা?

উত্তর : এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইসলামে বিনোদন নিষেধ নয়, তাই বলে কোনও অনৈসলামিক কাজকে ইসলামের লেবেল লাগিয়ে ইসলামী বিনোদন বলে চালিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, বর্তমান ইসলামী সাংস্কৃতি ও সংগীত অনুষ্ঠান নাম দিয়ে যে অনুষ্ঠান করা হয়, কোরআন-সুন্নাহ বিজ্ঞ আলেমগণ তা নাজায়েয হওয়ার ফতোয়াই দিয়ে থাকেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার অনুমতি দেন না৷ কেননা এসব অনুষ্ঠানে শরিয়ত পরিপন্থী অনেক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে৷ যেমন :

১. প্রচলিত ইসলামী সংগীতগুলো সুর, কণ্ঠ, আওয়াজের তরঙ্গ, ইকো, সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং ও ধোয়া নির্গমন ইত্যাদি সব বিষয় আধুনিক গানের সাথে সামাঞ্জস্য রাখে, বিধায় তা গানের অন্তর্ভুক্ত৷

২. আধুনিক গানের মতো এখানেও শ্রোতাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের বিকৃতি আসে, যেমন গানের সুরে সুরে শরীর ও মাথা দুলানো, পশুর মত অস্বাভাবিক বিকট আওয়াজ, যেমন ঠিক ইত্যাদি বলা৷

৩. এটা খেল-তামাশা (لھو-لعب) এর অন্তর্ভুক্ত, হাসি, ঠাট্টা, তামাশা, মনমুগ্ধকর অঙ্গভঙ্গি করে শ্রোতাদের মন মাতানো ও তাদের আনন্দ উৎসব এবং মিলন মেলা হিসেবে এটি অনুষ্ঠিত হয়৷

৪. এর দ্বারা মানুষ ইলম, আমল, ইত্যাদি থেকে বিমুখ হয়, কেউ সংগীত বানানো, কন্ঠ সুন্দর করা, গাওয়া, ক্যাসেট বের করা ইত্যাদিতে মূল্যবান সময় ব্যয় করে৷ কেউ তা শুনে শুনে সময় নষ্ট করে৷

৫. এটা জায়েজ কাজ হিসেবে চালিয়ে দিয়ে নাজায়েজ কাজ করার সুযোগ নেয়া হয়, ছবি তোলা ও ভিডিও করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়েজ৷
অর্থাৎ এটি অনেক নাজায়েজ কাজ এর উৎস!

এছাড়াও আরোও অনেক নাজায়েজ, ক্ষতিকর ও অনর্থক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়৷ অতএব বর্তমান প্রচলিত ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শরীয়ত সম্মত নয়, তাই এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করে কোন শিল্পী গোষ্ঠীর মাধ্যমে সংগীত পরিবেশন করা ও শোনা এবং ভিডিও করে প্রচার করা জায়েজ নেই৷
প্রমান : সূরা লুকমান, আয়াত : ৬,
আহকামুল কুরআন, ৩/১৮৫, ৩/২৫৩ (এদারাতুল কুরআন প্রকাশনী),
রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৪৯,
সহিহ বুখারী শরিফ : ৫৯৫০,
শরহে মুসলিম লিন নববী রহঃ : ২/১৯৯ (আশরাফিয়া প্রকাশনী),
কেন্দ্রীয় দারুল ইফতার ফতুয়া নং : ৯৯৮৫
ফতুয়া সত্যায়নে : হযরত মুফতি আরশাদ রহমানী দামাত বারাকাতুহুম ইবনে শায়খুল আরব ওয়াল আজম হযরত ওয়ালা শাহ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহঃ, মুফতি আজম বাংলাদেশ৷ মহাপরিচালক কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷
হযরত মুফতি এনামুল হক কাসেমী, প্রধান মুফতি, কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷
হযরত মুফতি মুঈনুদ্দীন নানুপুরী, মুফতি, কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷


নাযেমে দারুল ইকামা : মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷

0 comments:

Post a Comment