ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকার ফতুয়া৷
বরাবর, প্রধান মুফতি সাহেব দামাত বারাকাতুহুম, মারকাযুল ফিকরিল
ইসলামী বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷
বিষয় : অপসংস্কৃতি!
প্রশ্ন : ইসলামী
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শরীয়ত সম্মত কিনা? তথাকথিত শিল্পীগোষ্ঠী
সমূহের মাধ্যমে ইসলামী সংগীত এর হুকুম কি? এবং সঙ্গীত শোনা
জায়েজ আছে কিনা? এবং ইহা ভিডিও আকারে প্রচার করা যাবে
কিনা?
উত্তর : এ কথা অনস্বীকার্য
যে, ইসলামে বিনোদন নিষেধ নয়, তাই বলে কোনও অনৈসলামিক
কাজকে ইসলামের লেবেল লাগিয়ে ইসলামী বিনোদন বলে চালিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, বর্তমান ইসলামী সাংস্কৃতি ও সংগীত অনুষ্ঠান নাম দিয়ে যে অনুষ্ঠান করা হয়, কোরআন-সুন্নাহ বিজ্ঞ আলেমগণ তা নাজায়েয হওয়ার ফতোয়াই দিয়ে থাকেন এবং এ ধরনের
অনুষ্ঠান আয়োজন করার অনুমতি দেন না৷ কেননা এসব অনুষ্ঠানে শরিয়ত পরিপন্থী অনেক কর্মকাণ্ড
হয়ে থাকে৷ যেমন :
১. প্রচলিত ইসলামী
সংগীতগুলো সুর, কণ্ঠ, আওয়াজের তরঙ্গ, ইকো, সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং ও ধোয়া নির্গমন ইত্যাদি সব
বিষয় আধুনিক গানের সাথে সামাঞ্জস্য রাখে, বিধায় তা গানের
অন্তর্ভুক্ত৷
২. আধুনিক গানের
মতো এখানেও শ্রোতাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের বিকৃতি আসে, যেমন গানের সুরে সুরে শরীর ও মাথা দুলানো, পশুর মত অস্বাভাবিক
বিকট আওয়াজ, যেমন “ঠিক” ইত্যাদি বলা৷
৩. এটা খেল-তামাশা
(لھو-لعب) এর অন্তর্ভুক্ত, হাসি, ঠাট্টা, তামাশা, মনমুগ্ধকর অঙ্গভঙ্গি করে শ্রোতাদের মন মাতানো ও তাদের আনন্দ উৎসব এবং মিলন মেলা
হিসেবে এটি অনুষ্ঠিত হয়৷
৪. এর দ্বারা মানুষ
ইলম, আমল,
ইত্যাদি থেকে বিমুখ হয়, কেউ সংগীত বানানো, কন্ঠ সুন্দর করা, গাওয়া, ক্যাসেট বের করা ইত্যাদিতে মূল্যবান সময় ব্যয় করে৷ কেউ তা শুনে শুনে সময় নষ্ট
করে৷
৫. এটা জায়েজ কাজ
হিসেবে চালিয়ে দিয়ে নাজায়েজ কাজ করার সুযোগ নেয়া হয়, ছবি তোলা ও ভিডিও করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়েজ৷
অর্থাৎ এটি অনেক
নাজায়েজ কাজ এর উৎস!
এছাড়াও আরোও অনেক
নাজায়েজ,
ক্ষতিকর ও অনর্থক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়৷ অতএব বর্তমান প্রচলিত
ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শরীয়ত সম্মত নয়, তাই এসব অনুষ্ঠান
আয়োজন করে কোন শিল্পী গোষ্ঠীর মাধ্যমে সংগীত পরিবেশন করা ও শোনা এবং ভিডিও করে প্রচার
করা জায়েজ নেই৷
প্রমান : সূরা লুকমান, আয়াত : ৬,
আহকামুল কুরআন, ৩/১৮৫, ৩/২৫৩ (এদারাতুল কুরআন প্রকাশনী),
রদ্দুল মুহতার
: ৬/৩৪৯,
সহিহ বুখারী শরিফ
: ৫৯৫০,
শরহে মুসলিম লিন
নববী রহঃ : ২/১৯৯ (আশরাফিয়া প্রকাশনী),
কেন্দ্রীয় দারুল
ইফতার ফতুয়া নং : ৯৯৮৫
ফতুয়া সত্যায়নে
: হযরত মুফতি আরশাদ রহমানী দামাত বারাকাতুহুম ইবনে শায়খুল আরব ওয়াল আজম হযরত ওয়ালা
শাহ ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহঃ, মুফতি আজম বাংলাদেশ৷
—মহাপরিচালক কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷
হযরত মুফতি এনামুল
হক কাসেমী, —প্রধান মুফতি, কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ
সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷
হযরত মুফতি মুঈনুদ্দীন
নানুপুরী,
মুফতি, কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷
নাযেমে দারুল ইকামা
: মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা৷
0 comments:
Post a Comment